Feriwala - Inspiring Heart and Lives

Header Ads Widget

ল অব অ্যাট্রাকশন: সফল হওয়ার পদ্ধতিসমূহ (তৃতীয় ও শেষ পর্ব)

ল অব অ্যাট্রাকশন (Law of Attraction)

ল অব অ্যাট্রাকশন একটি মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ধারণা, যা বলে যে মানুষের চিন্তা, অনুভূতি এবং বিশ্বাস তাদের জীবনের বাস্তবতা তৈরি করে। এটি মূলত আকর্ষণের শক্তি বা আকর্ষণের নিয়মের উপর ভিত্তি করে কাজ করে, যেখানে ইতিবাচক চিন্তা ইতিবাচক ফলাফল এবং নেতিবাচক চিন্তা নেতিবাচক ফলাফল আনে। বিজ্ঞান এই ধারণাকে পুরোপুরি সমর্থন না করলেও মনোবিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এই তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে। মনের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে ল অব অ্যাট্রাকশন সফলভাবে প্র্যাকটিস করা যায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক হিসেবে ভিজুয়ালাইজেশন বা কল্পনার সাহায্যে নিজের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হয়, যেখানে আপনি নিজের স্বপ্ন এবং ইচ্ছা পূর্ণ হওয়ার দৃশ্যকল্প তৈরি করেন। মন্ত্র এবং ধ্যান এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক হতে পারে, যা মনকে ইতিবাচক শক্তির দিকে পরিচালিত করে। ইতিবাচক চিন্তা এবং ইচ্ছা শক্তিকে বারবার নিশ্চিত করে ধীরে ধীরে মনের গভীরে স্থাপন করতে হয়। এটি করতে গিয়ে নেতিবাচক ভাবনা দূর করার উপায় অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি নিজের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে পারেন। 

ল অব অ্যাট্রাকশন
ল অব অ্যাট্রাকশন । Image by dlsd cgl from Pixabay



ল অব অ্যাট্রাকশন ব্যর্থ হয় তখনই, যখন আমরা আমাদের ইচ্ছার প্রতি আস্থাহীন বা সন্দিহান হই। মনের শক্তি এবং আকর্ষণের শক্তি দিয়ে সফলতা অর্জন সম্ভব, তবে ইচ্ছা পূরণের কৌশল জানতে হবে এবং সঠিকভাবে সফল হওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। ধনী হওয়ার উপায় হিসেবেও ল অব অ্যাট্রাকশরে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা যায়। ধন সম্পদ আকর্ষণ করা থেকে শুরু করে স্বপ্ন পূরণ এবং সুখী জীবন অর্জন সবই ল অব অ্যাট্রাকশনের মাধ্যমে সম্ভব, যদি সঠিক প্রক্রিয়া মেনে ইতিবাচক চিন্তা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করা যায়।


[ল অব অ্যাট্রাকশন তিন পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম পর্বে ল অব অ্যাট্রাকশনের তাত্ত্বিক আলোচনা, দ্বিতীয় পর্বে এর সাথে সম্পর্কিত “ল অব ভাইব্রেশন” বিষয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা এবং আজকের এই তৃতীয় ও শেষ পর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ল অব অ্যাট্রাকশনের ব্যবহারিক পদ্ধতিগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।] 


ল অব অ্যাট্রাকশন পদ্ধতিসমূহ

"ল অব অ্যাট্রাকশন" পদ্ধতি মূলত আকর্ষণের নিয়মের উপর ভিত্তি করে কাজ করে, যা বলে যে মানুষের ইতিবাচক চিন্তা, বিশ্বাস এবং মনোভাব তার জীবনে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে। এই ধারণাটি বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের কিছু নির্দিষ্ট ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন মনের শক্তি এবং চিন্তার প্রভাব। বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এই তত্ত্বকে সরাসরি প্রমাণ করতে না পারলেও, মানসিক শক্তি এবং ইতিবাচক ভাবনার প্রভাব নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। ল অব অ্যাট্রাকশন কীভাবে কাজ করে তার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ভিজুয়ালাইজেশন। এই প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার লক্ষ্য এবং স্বপ্নগুলোকে বাস্তবতার মতো কল্পনা করেন, যা মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আপনার মনকে সেই লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করে। আকর্ষণের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি যা কল্পনা করেন এবং যা বিশ্বাস করেন, সেটাই আপনার জীবনে আকৃষ্ট হবে।


ল অব অ্যাট্রাকশন প্র্যাকটিস করার জন্য বিশেষ কিছু টেকনিক রয়েছে, যেমন ইতিবাচক চিন্তা করা, ধ্যান করা, এবং মন্ত্র ব্যবহার করা। এসব প্রক্রিয়ায় মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয় এবং নেতিবাচক চিন্তা দূর করা হয়। নেতিবাচক ভাবনা দূর করার উপায় হিসেবে ধ্যান এবং ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ল অব অ্যাট্রাকশন মাঝে মাঝে ব্যর্থ হতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে বিশ্বাস করতে না পারি বা আমাদের চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক হয়ে যায়। সফল হওয়ার নিয়ম হলো নিজের লক্ষ্যকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা এবং ইতিবাচক শক্তি দিয়ে মনের অভ্যন্তরে সেই বাস্তবতাকে প্রতিষ্ঠিত করা। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কারণ ইতিবাচক ভাবনা এবং চিন্তার শক্তি মানুষকে তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। ল অব অ্যাট্রাকশন মেথড অনুসরণ করলে জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব, তবে এর জন্য ধৈর্য, বিশ্বাস এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস জরুরি। এখানে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:


১. ল অব অ্যাট্রাকশন সাধারন পদ্ধতি

নিজের ভবিষ্যৎ চাওয়া কে বর্তমানে অলরেডি পাওয়া হয়ে গেছে কল্পনা করতে হবে এবং ১০০% বিশ্বাস রাখতে হবে। কল্পনাতে অতিত, ভবিষ্যৎ কালের কোন ব্যবহার করা যাবেনা, অবাস্তব কিছু যোগ করা যাবেনা, কনফিউজড কোন কিছু যোগ করা যাবেনা। কোন নেগেটিভ কল্পনা বা কারো ক্ষতির কল্পনা করা যাবেনা। কল্পনা হতে হবে সহজ সরল। ভবিষ্যৎকে বর্তমানে এনেই এর প্র্যাকটিস করতে হবে। কোনরকম নেগেটিভ চিন্তা, ভয় এবং কনফিউশন রাখা যাবেনা। অধৈর্য হওয়া যাবেনা। এই কল্পনাকেই সাবকনশাস মাইন্ডে ইনপুট দিতে হবে। এটা যেকোন সময়ই করা যায় তবে রাতে ঘুমানোর আগের ৫/১০ মিনিট সবচেয়ে ভালো সময়। এটা নিয়মিত করতে করতে মাইন্ডে সেট হয়ে যাবে তখন ইচ্ছা বা কল্পনা বাস্তবে রূপ নেয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। একসেট ইচ্ছা বা কল্পনাকে বাস্তবায়নের লক্ষেই এই পদ্ধতির ব্যবহার হয়। এটা একটা দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া তাই তাৎক্ষনিকভাবে এর রেজাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বড় এবং সুদূরপ্রসারী কোন ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।


*** প্রতিটি ল'তেই ইচ্ছা, কল্পনা বা স্বপ্নকে বর্তমানের কালের ফরমেটে লিখতে হবে বা পড়তে হবে। কোনরকম নেগেটিভ, অবাস্তব ও অন্যের ক্ষতির ইচ্ছা বা কল্পনা করা যাবেনা তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ হবে। বিশ্বাস, অধৈর্য, আস্থাহীন হওয়া যাবেনা তাহলে ইচ্ছাপূরণে সমস্যা হবে। ভয়, উদ্বেগ, দ্বিধা, সন্দেহ পোষন করা যাবেনা তাহলে রেজাল্ট ভালো হবেনা। সবসময়ই পজিটিভ, আশাবাদী, দূশ্চিন্তামুক্ত, টেনশনমুক্ত থাকতে হবে তবেই ইচ্ছাপূরণ হবে বা কল্পনা বাস্তবে রূপ নিবে। ৩/৭/২১ দিনে ইচ্ছাপূরণ হবে পরে অন্য ইচ্ছাকে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। একটি পদ্ধতিতে ২১ দিনের মধ্যে কোন অগ্রগতি না হলে পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। 


২. ল অব অ্যাট্রাকশন ২২২ পদ্ধতি

২২২ পদ্ধতি ল অব অ্যাট্রাকশনের অন্যতম জনপ্রিয় একটি কৌশল যা আপনার ইচ্ছাগুলোকে আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে আপনি একটি বিশেষ Affirmation বা ইতিবাচক বাণী লিখবেন প্রতিদিন ২২ বার করে ২ দিন ধরে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার চিন্তাভাবনাকে শক্তিশালী করে মহাবিশ্বে একটি বার্তা প্রেরণ করবেন, যা আপনার আকাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা বা লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত করবে।


২২২ পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে?

ল অব অ্যাট্রাকশনের ২২২ পদ্ধতি মূলত ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে এবং সেটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এটি আপনার মনের অবচেতন অংশে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা প্রেরণ করে এবং সেগুলিকে বাস্তবায়নে সাহায্য করে।


২২২ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ:

  • উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ইচ্ছা বেছে নিন যা আপনি আকর্ষণ করতে চান। এটি হতে পারে আর্থিক সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, বা যেকোনো ব্যক্তিগত উন্নতি। 
  • স্পষ্ট ও ইতিবাচক Affirmation তৈরি করুন: আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে এমনভাবে একটি স্পষ্ট Affirmation তৈরি করুন। মনে রাখবেন, Affirmation সবসময় বর্তমান কালে হতে হবে, যেন আপনি ইতোমধ্যেই আপনার ইচ্ছাটি অর্জন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ: "আমি খুব খুশি, আমি এখন একটি সফল ক্যারিয়ার উপভোগ করছি, ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য", "আমি খুব খুশি আমি আর্থিক প্রাচুর্য অর্জন করেছি ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য ", "আমি খুব খুশি আমি সুস্থ ও সুখী জীবন যাপন করছি, ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য।"
  • ২২ বার লিখুন: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন এবং শান্ত পরিবেশে Affirmation টি ২২ বার করে লিখুন। প্রতিবার লেখার সময় পড়ুন। এটি আপনাকে আপনার ইচ্ছার প্রতি আরও বেশি মনোযোগী এবং একাগ্র করে তুলবে। আগে থেকে ডায়েরিতে ১-২২ নাম্বার নোট করা থাকলে সংখ্যা গণনাজনিত ভুল হবেনা।
  • ২ দিন ধরে চালিয়ে যান: এই প্রক্রিয়াটি ২ দিন ধরে চালিয়ে যান। দুই দিনের এই সময়সীমার মধ্যে আপনি মহাবিশ্বের প্রতি একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করবেন যে আপনি আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে প্রস্তুত।
  • Affirmation টি কল্পনা করুন: Affirmation টি কিছু সময় কল্পনা করুন। কল্পনাটি এমন হতে দহবে যেন আপনার Affirmation টির বাস্তবায়ন অলরেডি হয়ে গেছে। 
  • বিশ্বাস এবং ধৈর্য রাখুন: প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পর, আপনার ইচ্ছার পূর্ণ হওয়ার জন্য বিশ্বাস রাখুন এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। কবে হবে, কখন হবে, কেন হচ্ছেনা টাইপের নেগেটিভ চিন্তাভাবনাকে বাদ দিয়ে ঐ বিষয় চিন্তা থেকে বের করে দিতে হবে। ইচ্ছাটা পূরণ হওয়া পর্যন্ত পজিটিভ থাকতে হবে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন এবং নিশ্চিত থাকুন যে আপনি যা চাইছেন, তা আপনার কাছে আসবে। ইচ্ছাপূরণ হয়ে গেলে পরবর্তি ইচ্ছাপূরণে আগের মতো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করা যাবেনা নয়তো ইচ্ছাপূরণ হবেনা। ২২২ পদ্ধতিতে ৩/৭/২১ দিনের মধ্যে ইচ্ছাপূরণের হবে বা সম্ভাবনা তৈরি হবে। আর যারা ২ দিনের করার পরেও মনে বিশ্বাস আনতে পারবেনা তারা ৩৩৩, ৪৪৪ বা ৫৫৫ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।

৩. ল অব অ্যাট্রাকশন ৩৩৩ পদ্ধতি

৩৩৩ পদ্ধতি হল ল অব অ্যাট্রাকশন প্রয়োগের একটি কৌশল যা আপনাকে আপনার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য মনোযোগী ও কার্যকরীভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এই পদ্ধতির মূল ধারণা হলো প্রতিদিন ৩৩ বার করে ৩ দিন ধরে একটি নির্দিষ্ট Affirmation বা ইতিবাচক বাণী লিখে আপনার মনের অবচেতন অংশে বার্তা প্রেরণ করা, যাতে মহাবিশ্ব থেকে আপনার ইচ্ছা পূরণের জন্য সহায়তা পাওয়া যায়।


৩৩৩ পদ্ধতির ধাপসমূহ:

  • এই পদ্ধতিটা 222 পদ্ধতির মতোই শুধু Affirmation টি ৩৩ বার করে ৩ দিন প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • আগে থেকে ডায়েরিতে ১-৩৩ নাম্বার নোট করা থাকলে সংখ্যা গণনাজনিত ভুল হবেনা।
  • লেখার আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে এবং লেখা শেষ হয়ে গেলে Affirmation টি কিছুক্ষণ কল্পনা করে পানি পান করতে হবে। (আবশ্যিক নয়)


৪. ল অব অ্যাট্রাকশন ৪৪৪ পদ্ধতি

৪৪৪ পদ্ধতি হল ল অব অ্যাট্রাকশন প্রয়োগের একটি কৌশল যা আপনার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথে আপনাকে মনোযোগী এবং ধারাবাহিক হতে সহায়তা করে। এটি বিশ্বাস ও ধৈর্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি প্রক্রিয়া, যা আপনার ইচ্ছাকে মহাবিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। ৪৪৪ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনাকে ৪৪ বার একটি নির্দিষ্ট Affirmation বা ইতিবাচক বাণী ৪ দিন ধরে লিখতে হবে। এর ফলে, আপনার অবচেতন মন সেই বাণীকে গ্রহন করে এবং মহাবিশ্বের কাছে আকর্ষণ করে, যা আপনার ইচ্ছা বাস্তবায়নে সহায়ক হয়।


৪৪৪ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ:

  • এই পদ্ধতিটা 222 পদ্ধতির মতোই শুধু Affirmation টি ৪৪ বার করে ৪ দিন প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • আগে থেকে ডায়েরিতে ১-৪৪ নাম্বার নোট করা থাকলে সংখ্যা গণনাজনিত ভুল হবেনা।
  • লেখার আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে এবং লেখা শেষ হয়ে গেলে Affirmation টি কিছুক্ষণ কল্পনা করে পানি পান করতে হবে। (আবশ্যিক নয়)


৫. ল অব অ্যাট্রাকশন ৫৫৫ পদ্ধতি

"৫৫৫ পদ্ধতি" হল ল অব অ্যাট্রাকশন প্রয়োগের একটি শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় কৌশল, যা আপনার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়ক হতে পারে। এই পদ্ধতিটি সহজ, তবে নিয়মিত ও সঠিকভাবে অনুশীলন করলে তা অনেক কার্যকর হতে পারে। মূলত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে, আপনি নিজের চিন্তা ও অনুভূতিকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তর করে মহাবিশ্বে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করেন, যা আপনার উদ্দেশ্যকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতি অনুসারে, আপনি একটি ইতিবাচক Affirmation বা বাণী বেছে নেন এবং সেটি ৫৫ বার প্রতিদিন ৫ দিন ধরে লিখবেন। এটি আপনার অবচেতন মনকে শক্তিশালী করে তুলবে এবং আপনি যা আকাঙ্ক্ষা করছেন সেটিকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে।


৫৫৫ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ:

  • এই পদ্ধতিটা 222 পদ্ধতির মতোই শুধু Affirmation টি ৫৫ বার করে ৫ দিন প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • আগে থেকে ডায়েরিতে ১-৫৫ নাম্বার নোট করা থাকলে সংখ্যা গণনাজনিত ভুল হবেনা।
  • লেখার আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে এবং লেখা শেষ হয়ে গেলে Affirmation টি কিছুক্ষণ কল্পনা করে পানি পান করতে হবে। (আবশ্যিক নয়)


৬. ল অব অ্যাট্রাকশন ৬৬৬ পদ্ধতি

ল অব অ্যাট্রাকশনের ৬৬৬ পদ্ধতি হল একটি কৌশল, যা নির্দিষ্টভাবে আপনার চিন্তাভাবনা এবং আবেগকে আপনার ইচ্ছার দিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিটি সহজ, কিন্তু ধৈর্য এবং ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে এটি খুবই কার্যকর হতে পারে। যদিও "৬৬৬" সংখ্যা অনেকের জন্য নেতিবাচক অর্থ বহন করতে পারে, ল অব অ্যাট্রাকশনের ক্ষেত্রে এটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা প্যাটার্ন যা আপনার ইচ্ছাকে আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে আপনাকে একটি ইতিবাচক Affirmation ৬৬ বার করে প্রতিদিন ৬ দিন ধরে লিখতে হবে। এই নিয়মিত এবং একাগ্রতার প্রক্রিয়াটি আপনার অবচেতন মনকে শক্তিশালী করবে এবং মহাবিশ্বে একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠাবে, যা আপনার আকাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা পূরণের জন্য সহায়ক হবে।


৬৬৬ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ:

  • এই পদ্ধতিটা 222 পদ্ধতির মতোই শুধু Affirmation টি ৬৬ বার করে ৬ দিন প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • লেখার আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে এবং লেখা শেষ হয়ে গেলে Affirmation টি কিছুক্ষণ কল্পনা করে পানি পান করতে হবে। (আবশ্যিক নয়)


৭. ল অব অ্যাট্রাকশন ৭৭৭ পদ্ধতি

ল অব অ্যাট্রাকশনের ৭৭৭ পদ্ধতি হল একটি শক্তিশালী কৌশল যা আপনার আকাঙ্ক্ষা বা লক্ষ্যকে দ্রুত বাস্তবায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সংখ্যাটি আধ্যাত্মিকতা, আভ্যন্তরীণ জ্ঞান, এবং ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পদ্ধতিতে সংখ্যাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং এটি আপনার চিন্তা ও অনুভূতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করে।


৭৭৭ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ: প্রথম নিয়ম

৭৭৭ পদ্ধতি অনুসারে, আপনাকে প্রতিদিন ৭ বার করে ৭ দিন ধরে একটি নির্দিষ্ট Affirmation লিখতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় আপনার অবচেতন মন শক্তিশালীভাবে সক্রিয় হয় এবং মহাবিশ্বের দিকে আপনার আকাঙ্ক্ষার কম্পন পাঠায়।


৭৭৭ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ: দ্বিতীয় নিয়ম

  • এই পদ্ধতিটা 222 পদ্ধতির মতোই শুধু Affirmation টি ৭৭ বার করে ৭ দিন প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • লেখার আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে এবং লেখা শেষ হয়ে গেলে Affirmation টি কিছুক্ষণ কল্পনা করে পানি পান করতে হবে। (আবশ্যিক নয়)


৭৭৭ পদ্ধতি প্রয়োগের ধাপসমূহ: তৃতীয় নিয়ম

  • উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ইচ্ছা বেছে নিন যা আপনি আকর্ষণ করতে চান। এটি হতে পারে আর্থিক সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, বা যেকোনো ব্যক্তিগত উন্নতি। 
  • স্পষ্ট ও ইতিবাচক Affirmation তৈরি করুন: আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে এমনভাবে একটি স্পষ্ট Affirmation তৈরি করুন। মনে রাখবেন, Affirmation সবসময় বর্তমান কালে হতে হবে, যেন আপনি ইতোমধ্যেই আপনার ইচ্ছাটি অর্জন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ: "আমি খুব খুশি, আমি এখন একটি সফল ক্যারিয়ার উপভোগ করছি, ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য", "আমি খুব খুশি আমি আর্থিক প্রাচুর্য অর্জন করেছি ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য ", "আমি খুব খুশি আমি সুস্থ ও সুখী জীবন যাপন করছি, ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমার এই ইচ্ছা পূরন করার জন্য।"
  • Affirmation টি লিখুন ও প্রক্রিয়াটি করুন: একটা কাগজের উপরের দিকে 777 লিখে তার নিচে স্পেসিফিক চাওয়া সহজ সরল ভাষায় লিখতে হবে (ধন্যবাদ ইউনিভার্স আমি খুব খুশি আমার *** এই ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্য।)। লেখা কাগজটিকে বাম হাতে রেখে ডান হাত দিয়ে চেপে স্থির হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে ইচ্ছাপূরণের বিষয়টা কল্পনায় দেখার চেষ্টা করতে হবে।এবার কাগজটি ভাজ না করে কোন গোপন জায়গায় রাখতে হবে। 
  • ৭ বার প্রক্রিয়াটি করুন: এবার ৫/৭/১০/৩০/৬০ মিনিট পর পূর্বের মতো ইচ্ছাটাকে আগের লেখার নিচে লিখতে হবে পরে কাগজটি বাম হাতে রেখে ডাত হাত দিয়ে চাপ দিয়ে কল্পনা করতে হবে এবং আবার গোপন জায়গায় রাখতে হবে। এরকমভাবে মোট ৭ বার করতে হবে। 
  • কাগজ পুড়িয়ে ফেলুন: সবশেষে কাগজটিকে ছিড়ে মোমবাতির আগুনে পুড়িয়ে কাগজের ছাই বাইরে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে। 
  • বিশ্বাস এবং ধৈর্য রাখুন: এই কাজের পর ঐ ইচ্ছা নিয়ে আর ভাবার দরকার নেই, ইনপুট দেয়া হয়ে গেছে তাই ইচ্ছাটা অটোমেটিক পূরণ হয়ে যাবে, এটা নিয়ে কবে হবে, কেন হচ্ছেনা ইত্যাদি ভাবনার দরকার নেই। ৭৭৭ পদ্ধতি এই প্রক্রিয়া মাত্র একদিন করলেই লক্ষপূরণ হতে পারে।


৮. আব্রাহাম হিকসের ১৭ সেকেন্ড ম্যাজিক মোমেন্ট

আব্রাহাম হিকসের "১৭ সেকেন্ড ম্যাজিক মোমেন্ট" ধারণাটি হল ল অব অ্যাট্রাকশনের একটি শক্তিশালী কৌশল, যা আপনাকে আপনার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ইতিবাচক কম্পন তৈরি করতে সহায়তা করে। আব্রাহাম হিকসের মতে, কোন কল্পনা লিখতে বা পড়তে মিনিমাম ১৭ সেকেন্ড সময় লাগতে হবে। মাত্র ১৭ সেকেন্ড ধরে কোনো ইতিবাচক চিন্তায় ফোকাস করলে বা কোন কল্পনা মনে ধরে রাখতে পারলে, তা একটি শক্তিশালী কম্পন তৈরি করে, যা মহাবিশ্বে আকর্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করে। আরও ১৭ সেকেন্ড ধরে রাখলে, সেই কম্পন আরও শক্তিশালী হয়, এবং যখন আপনি ৬৮ সেকেন্ড ধরে রাখেন, তখন সেটি কার্যকরভাবে মহাবিশ্বের আইন অনুযায়ী আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে শক্তিশালীভাবে কাজ করতে শুরু করে। এই পদ্ধতি ছোট মনে হলেও, এর প্রভাব অত্যন্ত শক্তিশালী।


১৭ সেকেন্ড ম্যাজিক মোমেন্টের মূল ধারণা:

  • ইতিবাচক চিন্তায় মনোনিবেশ করুন: আপনি যখন কোনো ইতিবাচক চিন্তা করেন, তা আপনার মন এবং মহাবিশ্বের মধ্যে একটি কম্পন তৈরি করে। যদি আপনি মাত্র ১৭ সেকেন্ড ধরে এই চিন্তায় গভীরভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন, তা একটি শক্তিশালী কম্পন তৈরি করে এবং আপনার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
  • ফোকাস ধরে রাখুন: ১৭ সেকেন্ডের সময়সীমা খুব বেশি দীর্ঘ নয়, কিন্তু চিন্তায় পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি চিন্তাকে ১৭ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে রাখতে পারেন, তাহলে মহাবিশ্বে সেই কম্পন আরও শক্তিশালী হয়। যেমন: কল্পনাকে ৬৮ সেকেন্ড ধরে রাখতে পারলে সে কল্পনা বাস্তবে রূপ নেয়া শুরু করে।


১৭ সেকেন্ডের ধাপসমূহ:

  • ইচ্ছা বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: প্রথমে, একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ইচ্ছা বেছে নিন যা আপনি অর্জন করতে চান। এটি হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার, আর্থিক সমৃদ্ধি, সম্পর্ক, বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত।
  • একটি ইতিবাচক চিন্তা (Affirmation) তৈরি করুন: আপনার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে এমন একটি ইতিবাচক চিন্তা বা অনুভূতি তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কল্পনা করতে পারেন যে আপনি আপনার স্বপ্নের কাজ পেয়েছেন, আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করেছেন, বা একটি সুখী সম্পর্ক উপভোগ করছেন।
  • ১৭ সেকেন্ডের জন্য চিন্তায় মনোনিবেশ করুন: আপনার বেছে নেওয়া চিন্তা বা অনুভূতিকে ১৭ সেকেন্ডের জন্য গভীরভাবে অনুভব করুন। সেই চিন্তার সাথে আবেগ এবং আনন্দ মিশিয়ে ভাবুন, যেন এটি ইতিমধ্যেই আপনার জীবনে ঘটেছে।
  • চিন্তায় আবেগ যুক্ত করুন: শুধু চিন্তা করাই যথেষ্ট নয়, আপনাকে সেই চিন্তার সাথে আপনার আবেগ ও অনুভূতি মিশিয়ে গভীরভাবে অনুভব করতে হবে। আবেগের শক্তি সেই কম্পনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
  • মনে রাখুন আরও সময় ধরে রাখলে প্রভাব বাড়ে: ১৭ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে আপনি যদি ইতিবাচক চিন্তায় মনোনিবেশ করতে পারেন, তবে সেটি আরও কার্যকর হয়। ৬৮ সেকেন্ড ধরে যদি একই চিন্তায় ফোকাস রাখতে পারেন, তবে তা আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আরও দ্রুত মহাবিশ্বে কাজ করতে শুরু করবে।


১৭ সেকেন্ডের প্রভাব: 

  • মহাবিশ্বে শক্তিশালী কম্পন: ১৭ সেকেন্ড ধরে একটি ইতিবাচক চিন্তায় ফোকাস করলে, এটি মহাবিশ্বের দিকে একটি শক্তিশালী কম্পন প্রেরণ করে, যা আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করে।
  • আকর্ষণের শক্তি বৃদ্ধি: ১৭ সেকেন্ডের পর যদি আপনি সেই চিন্তায় আরও সময় ব্যয় করতে পারেন, তবে আকর্ষণের শক্তি আরও বৃদ্ধি পায়, যা আপনার ইচ্ছাকে আরও দ্রুত বাস্তবায়িত করে।


১৭ সেকেন্ড কৌশলের উপকারিতা:

  • সহজ ও কার্যকর: এই পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং সময়সাপেক্ষ নয়, কিন্তু এটি অত্যন্ত কার্যকর।
  • আবেগ ও চিন্তার ফোকাস: ১৭ সেকেন্ডের জন্য একটি ইতিবাচক চিন্তা ধরে রাখা আপনার মনের গভীরে সেই চিন্তাকে স্থির করে এবং মহাবিশ্বে একটি স্পষ্ট সংকেত পাঠায়।
  • মনে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে, আপনি আপনার চিন্তা ও আবেগকে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং মহাবিশ্বের সাথে আপনার আকাঙ্ক্ষাকে সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন।


৯. নিকোলা টেসলার ৩৬৯ মেথড

নিকোলা টেসলার ৩৬৯ মেথড ল অব অ্যাট্রাকশনের একটি জনপ্রিয় কৌশল যা টেসলার সংখ্যাতত্ত্ব ও আধ্যাত্মিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি। নিকোলা টেসলার ৩-৬-৯ মেথড তার সংখ্যা তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত একটি ধারণা, যা তিনি গণিতের শক্তি এবং মহাবিশ্বের গোপন রহস্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। টেসলা বিশ্বাস করতেন যে সংখ্যা ৩, ৬ এবং ৯ মহাবিশ্বের শক্তি ও প্রাকৃতিক নীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই সংখ্যা তিনটি বিশেষ শক্তি ও কম্পনকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা মহাবিশ্বের সঙ্গে মানুষের সংযোগকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যদিও তিনি সরাসরি এই সংখ্যাগুলির জন্য কোনো নির্দিষ্ট মেথড তৈরি করেননি, এই সংখ্যা নিয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন তত্ত্ব এবং মেথড তৈরি করেছেন।


৩৬৯ এর গুরুত্ব:

নিকোলা টেসলার মতে, ৩, ৬, এবং ৯ সংখ্যা মহাবিশ্বের একটি মৌলিক প্যাটার্ন। তিনি বলেছিলেন, "যদি তুমি ৩, ৬ এবং ৯ এর মহিমা জানো, তাহলে তুমি মহাবিশ্বের চাবি পেয়ে যাবে।" (যদি তুমি ৩, ৬, এবং ৯ এর মহত্ত্ব জান, তবে তুমি মহাবিশ্বের চাবি পেয়ে যাবে)। টেসলার মতে, ৩, ৬, এবং ৯ মহাবিশ্বের মূল শক্তির সংখ্যা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই সংখ্যাগুলো মহাজাগতিক শক্তির মূল চাবিকাঠি ধরে রাখে। টেসলার মতানুযায়ী: ৩- সৃজনশীলতার সংখ্যা, যা শুরু এবং নতুন ধারণাকে নির্দেশ করে, ৬- অভ্যন্তরীণ শক্তি এবং মানসিক ভারসাম্যের প্রতীক, যা আপনার অভ্যন্তরীণ শক্তিকে জাগ্রত করতে সাহায্য করে, ৯- পরিপূর্ণতা এবং আধ্যাত্মিকতার সংখ্যা, যা আপনার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহায়ক।


৩৬৯ মেথড কীভাবে কাজ করে?

৩৬৯ মেথডের মূল ধারণাটি হলো আপনার চিন্তাশক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংহত করে, মহাবিশ্বে একটি শক্তিশালী কম্পন প্রেরণ করা। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষার প্রতি ফোকাস বাড়িয়ে তোলেন এবং ধীরে ধীরে আপনার লক্ষ্যকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করেন।


৩৬৯ মেথডের প্রয়োগ:

আজকের দিনে, "৩৬৯ মেথড" প্রায়ই ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি আপনার লক্ষ্য বা আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চাইলে এই সংখ্যা ব্যবহার করেন। 


৩৬৯ মেথড প্রয়োগের ধাপসমূহ: প্রথম নিয়ম

  • ইচ্ছা বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: প্রথমে, একটি নির্দিষ্ট ইচ্ছা বা লক্ষ্য বেছে নিন যা আপনি মহাবিশ্ব থেকে আকর্ষণ করতে চান। এটি হতে পারে একটি চাকরি, অর্থনৈতিক সাফল্য, একটি সম্পর্ক, অথবা কোনো মানসিক বা শারীরিক উন্নতি।
  • একটি ইতিবাচক Affirmation তৈরি করুন: আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী একটি Affirmation তৈরি করুন, যেন আপনার ইচ্ছা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: "আমি প্রতিদিন নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি", "আমি নিজের যোগ্যতায় সফলতা অর্জন করছি", "আমি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করছি"।
  • ৩ বার করে লিখুন: সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার Affirmationsটি ৩ বার লিখুন। এটি আপনার দিনের শুরুতে ইতিবাচক চিন্তা ও ফোকাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
  • ৬ বার লিখুন দুপুরে: দুপুরের সময় Affirmationsটি ৬ বার লিখুন। এটি আপনার মনের উপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং আপনার দিনের মাঝখানে পুনরায় মনোযোগ বৃদ্ধি করবে।
  • ৯ বার লিখুন রাতে: রাতের সময়, ঘুমানোর আগে Affirmationsটি ৯ বার লিখুন। এটি আপনার অবচেতন মনে শক্তিশালীভাবে সেট হয়ে যাবে এবং আপনার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।
  • প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান: প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে ২১ / ৩৩ / ৪৫ দিন ধরে চালিয়ে যান। এই সময়ের মধ্যে, মহাবিশ্বের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা আরও শক্তিশালী সংকেত পাঠাবে এবং আপনি ধীরে ধীরে আপনার ইচ্ছাকে আকর্ষণ করতে শুরু করবেন। এটি আসলে বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং আকর্ষণের আইনের এক ধরনের আধ্যাত্মিক বা ব্যক্তিগত মন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


***

নিকোলা টেসলার ৩৬৯ মেথড ও আব্রাহাম হিকসের ১৭ সেকেন্ড ম্যাজিক মোমেন্ট একসাথে প্রয়োগ করা যায় তাতে এর কার্যকারিতা আরও শক্তিশালী হয়। এক্ষেত্রে সকালবেলা Affirmation টি ৩ বার লিখে পড়তে হবে, দুপুরে ৬বার লিখে পড়তে হবে এবং রাতে ৯ বার লিখে পড়তে হবে। ৩৩ দিন অথবা ৪৫ দিন করতে হবে। Affirmation টি লিখতে মিনিমাম ১৭ সেকেন্ড লাগবে এমন শব্দ চয়ন করতে হবে।


৩৬৯ মেথড প্রয়োগের ধাপসমূহ: দ্বিতীয় নিয়ম

  • ইচ্ছা বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: প্রথমে, তিনটি ইচ্ছা বা লক্ষ্য বেছে নিন যা আপনি মহাবিশ্ব থেকে আকর্ষণ করতে চান। এগুলি হতে পারে একটি চাকরি বা অর্থনৈতিক সাফল্য, একটি সম্পর্ক, অথবা কোনো মানসিক বা শারীরিক উন্নতি।
  • তিনটি ইতিবাচক Affirmation তৈরি করুন: আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী তিনটি Affirmation তৈরি করুন, যেন আপনার ইচ্ছা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: "আমি আর্থিকভাবে সফল এবং স্বাধীন", "আমি আমার স্বপ্নের চাকরি পেয়েছি", "আমি একটি সুখী ও ভালোবাসার সম্পর্ক উপভোগ করছি।"
  • ৯ সেকেন্ড করে পড়ুন: তিনটি আলাদা লেখা Affirmations ৯ সেকেন্ড করে সর্বমোট ২৭ সেকেন্ড পড়তে হবে। এটি আপনার দিনের শুরুতে ইতিবাচক চিন্তা ও ফোকাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
  • ৬ বার পড়ুন: এই তিনটা Affirmations ২৭ সেকেন্ড করে দিনের মধ্যে মোট ৬ বার পড়তে হবে। একসাথে ৬ বার পড়লে ভালো তবে সুবিধা অনুযায়ী আলাদাভাবেও পড়া যাবে। মোটকথা ৬ বার হলেই হলো। এটি আপনার মনের উপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে। এটি আপনার অবচেতন মনে শক্তিশালীভাবে সেট হয়ে যাবে এবং আপনার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।
  • প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান: প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে ২১ / ৩৩ / ৪৫ দিন ধরে চালিয়ে যান। এই সময়ের মধ্যে, মহাবিশ্বের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা আরও শক্তিশালী সংকেত পাঠাবে এবং আপনি ধীরে ধীরে আপনার ইচ্ছাকে আকর্ষণ করতে শুরু করবেন। এটি আসলে বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং আকর্ষণের আইনের এক ধরনের আধ্যাত্মিক বা ব্যক্তিগত মন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে একসাথে ৩ টি ইচ্ছা নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।


৩৬৯ মেথডের কার্যকারিতা কেন এত শক্তিশালী?

  • সংখ্যার শক্তি: টেসলা বিশ্বাস করতেন যে ৩, ৬, এবং ৯ সংখ্যা মহাবিশ্বের গোপন রহস্য ধারণ করে। এই সংখ্যা অনুযায়ী কাজ করলে আপনার মনের অবচেতন অংশ সক্রিয় হয় এবং মহাবিশ্বের শক্তির সঙ্গে মিলিত হয়।
  • ফোকাস ও পুনরাবৃত্তি: প্রতিদিন নিয়মিতভাবে Affirmation লেখা আপনার মনের ফোকাস বাড়িয়ে তোলে এবং আপনাকে আপনার ইচ্ছার প্রতি একাগ্র রাখে।
  • আবেগ এবং বিশ্বাস: যখন আপনি Affirmation লেখেন, তখন তা আবেগ ও বিশ্বাসের সাথে মিশিয়ে লিখতে হবে, যেন এটি ইতিমধ্যেই বাস্তব হয়ে গেছে। এই আবেগ মহাবিশ্বে একটি শক্তিশালী কম্পন তৈরি করে, যা আপনার আকাঙ্ক্ষাকে দ্রুত আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।


১০. ল অব অ্যাট্রাকশন ৬৯৬ পদ্ধতি

৬৯৬ পদ্ধতি হলো একটি জনপ্রিয় ল অব অ্যাট্রাকশন কৌশল, যা আপনার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষাকে আরও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ৩৬৯ পদ্ধতির মতোই একটি টেকনিক, যেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যার পুনরাবৃত্তি ব্যবহার করে আপনার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হয়। তবে, ৬৯৬ পদ্ধতিতে সংখ্যাগুলির বিন্যাসে কিছুটা পার্থক্য থাকে, যা ইচ্ছাকে স্পষ্টভাবে ফোকাস করার ওপর ভিত্তি করে কাজ করে।


৬৯৬ পদ্ধতির মূল ধাপ:

  • ৬ বার ইচ্ছা লেখার ধাপ: প্রতিদিন সকালে বা দিনের শুরুর দিকে, আপনার ইচ্ছা বা লক্ষ্যকে খুব স্পষ্ট এবং ইতিবাচকভাবে ৬ বার লিখুন। এটি এমনভাবে লেখা উচিত, যেন আপনার ইচ্ছা ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: "আমি সুখী এবং সফল" বা "আমার কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পেয়েছি।"
  • ৯ বার নিজের ওপর বিশ্বাস: দিনের মধ্যে ৯ বার আপনি আপনার ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজেকে মনে করিয়ে দেবেন এবং বিশ্বাস করবেন যে এটি ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই ধাপে আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।
  • ৬ বার ইচ্ছার পুনরাবৃত্তি: দিনের শেষে, আপনার ইচ্ছাকে পুনরায় ৬ বার লিখুন বা কল্পনা করুন। দিনের শেষ মুহূর্তে এটি করার কারণ হলো, আপনি নিজের মনের গভীরে সেই ইচ্ছাকে স্থাপন করবেন, যা আপনার অবচেতন মনকে সক্রিয় করবে।
  • ২১-৩৩ দিন: ৬৯৬ পদ্ধতি সাধারণত ২১ থেকে ৩৩ দিন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারন, ২১-৩৩ দিন ধরে একই কাজ করলে সেটি অবচেতন মনে গেঁথে যায়, যা আপনার ইচ্ছা পূরণে সাহায্য করে।


১১. ল অব অ্যাট্রাকশন ১১:১১ পদ্ধতি

ল অব অ্যাট্রাকশন (Law of Attraction) একটি জনপ্রিয় ধারণা, যা বলে যে আমাদের চিন্তা, আবেগ, এবং বিশ্বাস আমাদের জীবনে বিভিন্ন ঘটনা এবং অভিজ্ঞতা আকর্ষণ করে। এই ধারণার সাথে সম্পর্কিত একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো ১১:১১ পদ্ধতি। ১১:১১ সংখ্যাটি অনেক সময় বিশেষ মহাজাগতিক বা আধ্যাত্মিক অর্থ বহন করে বলে মনে করা হয়। এটি একটি "সিঙ্ক্রোনিসিটি" বা নিখুঁত সময়-সমাপতনের প্রতীক, যা মনের শক্তি, মহাবিশ্বের বার্তা, বা আত্মিক জাগরণের ইঙ্গিত দেয়। ১১:১১ পদ্ধতি সাধারণত ল অব অ্যাট্রাকশন অনুসারীদের মধ্যে জনপ্রিয়, যারা বিশ্বাস করেন যে এই বিশেষ সময় বা সংখ্যা জীবনে কিছু আকর্ষণ করার জন্য একটি শক্তিশালী মুহূর্ত।


১১:১১ পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে?

এই পদ্ধতি অনুসারে, প্রতিদিন সকাল ১১:১১ এবং রাত ১১:১১ মিনিটে আমাদের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। এই সময়ে আমাদের মনোযোগকে সম্পূর্ণভাবে সেই ইচ্ছার দিকে কেন্দ্রীভূত করতে হয়, যেন আমরা সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি। বিশ্বাস করা হয় যে, এই নির্দিষ্ট সময়ে করা প্রার্থনা বা ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, কারণ এই সময়ে আমাদের মন এবং শরীর একটি বিশেষ কম্পনে থাকে, যা আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে সহায়ক হয়। যদিও এই পদ্ধতি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়, তবুও অনেকেই এটি অনুসরণ করেন এবং নিজেদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন।


১১:১১ পদ্ধতি অনুসরণ করার ধাপ:

  • Affirmation লিখুন: সাদা কাগজে আপনার Affirmation টি ১১ বার লিখুন (কালো কালির কলম ব্যবহার করা যাবেনা)।
  • ভিজুয়ালাইজেশন করুন: কাগজটি নিজের দিকে দুবার ভাঁজ করে হৃদয় বরাবর রেখে ডান হাত দিয়ে ধরে Affirmation টি ১১ সেকেন্ড ভিজুয়ালাইজেশন করুন।
  • Affirmation টি পড়ুন: Affirmation টি ১১ বার পড়ুন।
  • ঘুমিয়ে পড়ুন: কাগজটি বালিশের নীচে রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন।

 

বিশেষ পরামর্শ:

  • এই পদ্ধতিটা ১১ দিনে প্রতিদিন সকাল ১১:১১ অথবা রাত ১১:১১ মিনিটে প্রক্রিয়াটি করতে হবে। 
  • আগে থেকে ডায়েরিতে ১-১১ নাম্বার নোট করা থাকলে সংখ্যা গণনাজনিত ভুল হবেনা।
  • এই পদ্ধতির রেজাল্ট ১-১১ দিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।


উপসংহার

ল অব অ্যাট্রাকশন টেকনিক একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া, যা আমাদের চিন্তা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের জীবন পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। ল অব অ্যাট্রাকশন এবং বিজ্ঞান একে অপরের সাথে কিছুটা সম্পর্কিত হলেও, বিজ্ঞান এই তত্ত্বের সব দিককে সমর্থন করে না। তবে, মনোবিজ্ঞান ও ল অব অ্যাট্রাকশন বিভিন্ন গবেষণা আমাদের শেখায় যে চিন্তার শক্তি এবং অনুভূতির প্রভাব আমাদের বাস্তবতা গড়তে সক্ষম। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে, যেমন ল অব অ্যাট্রাকশন ভিজুয়ালাইজেশন, ইতিবাচক নিশ্চিতকরণ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। তবে, ল অব অ্যাট্রাকশন ব্যর্থ হতে পারে যদি আপনি নেতিবাচক চিন্তা বা সন্দেহে আবদ্ধ থাকেন। সুতরাং, ল অব অ্যাট্রাকশন ব্যবহার করে সফলতা অর্জনের জন্য মনকে পরিষ্কার ও ইতিবাচক রাখতে হবে এবং স্বপ্নের বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এবং সঠিক টেকনিকগুলো প্রয়োগ করে, আপনি আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন। ল অব অ্যাট্রাকশন কেবল একটি পদ্ধতি নয়, বরং এটি একটি জীবনযাত্রার দর্শন, যা আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


*** পূর্বে অনেকবারই বলা হয়েছে ল অব অ্যাট্রাকশন তত্ত্বের অনেক কিছুই বিজ্ঞান সমর্থিত নয়, তাই এই তত্ত্ব বিশ্বাস করা বা না করা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই নিবন্ধের মাধ্যমে কাউকে প্ররোচিত করা হচ্ছেনা তাই পদ্ধতিগুলোর ফলাফলের সফলতা বা ব্যর্থতার দায় নিবন্ধ লেখকের নয়। 

 


Feriwala এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments